দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ অপচয় না করতে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার তার নিজ কার্যালয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’- এ মানসিকতা থেকে আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জনগনকে বোঝাতে হবে সরকারি মাল মানে তা সবারই মাল। জনগনকে উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা মাত্র পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হই। কাজেই এই পাঁচ বছরে জনগণকে কতটা সেবা দিতে পারব, জনগণের কল্যাণে কতটুকু কাজ করতে পারব এবং কতটুকু তাদের জন্য করে দিয়ে যাব, এটাই আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু স্বল্পমেয়াদি, কিছু মধ্যমেয়াদি, কিছু দীর্ঘমেয়াদি এভাবে আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে। তারই ভিত্তিতেজনগণের জীবনমান উন্নত করতে হলে কী কী পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে তা চিন্তা করতে হবে। জনগণের চাহিদাগুলো কী, কীভাবে তা পূরণ করব। সেটাই হচ্ছে সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের প্রস্তুত থাকা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বড় আকারের বাজেট দিয়েছি। এর আগে এতো বড় বাজেট দেয়া হয়নি। এই বাজেট সঠিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার সময় আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হব। এ লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এই পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে এ পথচলা যেনো কোনোভাবেই থেমে না যায়।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে মন্দা থাকা অবস্থায়ও আমরা প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এটা নিয়ে অনেক রাষ্ট্রপ্রধানও আমার কাছে জানতে চেয়েছেন আমরা এটা কীভাবে করতে সক্ষম হলাম। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এ ছাড়া সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সচিবরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পাঠকের মতামত